বাজেটে করমুক্ত আয়সীমা বাড়তে পারে

নিজস্ব প্রতিবেদক :
আগামী অর্থবছরে অর্থ্যাৎ ২০২৫-২৬শে ব্যক্তিশ্রেণির করদাতাদের বার্ষিক করমুক্ত আয়সীমা বাড়তে পারে। বর্তমানে বার্ষিক আয়ে সাড়ে তিন লাখ টাকা পর্যন্ত করমুক্ত আয়সীমা রয়েছে। এই সীমা আরও ২৫ হাজার টাকা থেকে ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত বাড়ানো হতে পারে।
আসন্ন বাজেটে একজন করদাতার বার্ষিক করমুক্ত আয়সীমা ৩ লাখ ৭৫ হাজার টাকা থেকে ৪ লাখ টাকা পর্যন্ত প্রস্তাব করা হতে পারে। উচ্চ মূল্যস্ফীতিতে সাধারণ করদাতাদের স্বস্তি দিতে এ উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে, কর কর্মকর্তাদের কাছ থেকে এমনটা জানা গেছে।
জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
আগামী ২ জুন ২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেট দেবে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ। এটি অন্তর্বর্তী সরকার ক্ষমতায় আসার পর প্রথম বাজেট।
এ ছাড়া করহার পুনর্বিন্যাস করা হতে পারে বলে জানা গেছে। করমুক্ত আয়সীমার পরের এক লাখ টাকার ওপর বর্তমানে প্রচলিত ৫ শতাংশ কর আরোপ হয়। এ স্তরের পরিধি বাড়ানো হতে পারে। তবে করের হার অপরিবর্তিত রাখা হতে পারে। বর্তমানে করহার হতে পারে ৫, ১০, ১৫, ২০ ও ২৫ শতাংশ।
এনবিআরের দায়িত্বশীল একজন কর্মকর্তা জানান, এক বছরের বেশি সময় ধরে উচ্চ মূল্যস্ফীতিতে নিম্ন আয়ের করদাতারা চাপে আছেন। তাদের কিছুটা স্বস্তি দিতে করমুক্ত আয়সীমা বাড়ানোর আলোচনা চলছে।
গত দুই অর্থবছরে করমুক্ত আয়সীমা বাড়ানো হয়নি। সর্বশেষ ২০২৩-২৪ অর্থবছরে বার্ষিক করমুক্ত আয়সীমা তিন লাখ টাকা থেকে বাড়িয়ে সাড়ে তিন লাখ টাকা করা হয়। কিন্তু পরের দুই বছরেই মূল্যস্ফীতি সবচেয়ে বেশি বেড়েছে। কিন্তু করমুক্ত আয়সীমা বাড়ানো হয়নি।
এক বছর ধরে খাদ্য মূল্যস্ফীতি অনেক বেশি ছিল। টানা ১০ মাস (২০২৪ সালে মার্চ থেকে ২০২৫ সালের জানুয়ারি মাস পর্যন্ত) খাদ্য মূল্যস্ফীতি ছিল ১০ শতাংশের বেশি। গত জুলাই মাসে খাদ্য মূল্যস্ফীতি ১৪ দশমিক ১০ শতাংশে উঠে, যা গত ১৩ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ।
বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) হিসাবে, ২০২৪ সালের এপ্রিল মাসের পর থেকে এ বছরের মার্চ মাস পর্যন্ত, অর্থাৎ গত এক বছরে গড় খাদ্য মূল্যস্ফীতি ১০ দশমিক ৪৪ শতাংশ।