মুসলিম লীগের রাজনৈতিক দর্শনই বিশ্ব মুসলমানদের মুক্তিমন্ত্র -মুসলিম লীগ

অর্থনীতির ৩০ দিন ডেস্ক :
সারা বিশ্বে সাধারণ মুসলমানদের উপর আজ ভয়াবহ দমন-পীড়ন চলছে। ফিলিস্তিন, আফগানিস্তান, ইরাক, ইরান, প্যালেস্টাইন, সিরিয়া, মিসর, মিয়ানমার, চীন, ভারত সর্বত্রই। ভারতীয় উপমহাদেশের প্রেক্ষাপটে ১৯৪৭ সালে ফলপ্রসূ হিসাবে প্রমাণিত নবাব সলিমুল্লার প্রদর্শিত রাজনৈতিক দর্শন মুসলিম জাতিসত্তার ভিত্তিতে ঐক্যবদ্ধ মুসলিম বিশ্ব হতে পারে এ অন্যায় থেকে মুক্তির মূলমন্ত্র। ওআইসি সহ বিশ্ব মুসলিম নেতৃবৃন্দের এ বিষয়ে নতুন করে ভাবার সময় এসেছে। আজ (০১ এপ্রিল, ২০২৪) বিকল ০৪.০০টায় পল্টনস্থ বার্ডস আই কনভেনশন হলে বাংলাদেশ মুসলিম লীগ আয়োজিত ইফতার মাহফিলে ইফতার পূর্ব সংক্ষিপ্ত আলোচনায় উপস্থিত নেতৃবৃন্দ উপরোক্ত মন্তব্য করেন। দলের নির্বাহী সভাপতি আব্দুল আজিজ হাওলাদারের সভাপতিত্বে ও দলীয় মহাসচিব কাজী আবুল খায়েরের সার্বিক পরিচালনায় অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন, বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক ব্যারিষ্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী নেতা মাওলানা আব্দুল হালিম ও মাওলানা শামীম সাইদী, এনপিপি সভাপতি ড. ফরিদুজ্জামান ফরহাদ, বাংলাদেশ জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য , গণঅধিকার পরিষদের সদস্য সচিব ফারুক হাসান, , লেবার পার্টির চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান ইরান, জাগপা সহ সভাপতি রাশেদ প্রধান, বিশিষ্ঠ সাংবাদিক মোস্তফা কামাল মজুমদার, এনডিএম চেয়ারম্যান ববি হাজ্জাজ, গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নূর, খেলাফত মজলিসের নায়েবে আমীর মাওলানা আহমেদ আলী কাসেমী, বাংলাদেশ ন্যাপ চেয়ারম্যান এন.এম শাওন সাদেকী, জাগপা সভাপতি খন্দকার লুৎফর রহমান গণদলের চেয়ারম্যান গোলাম মাওলা চৌধুরী, বিএনপি নির্বাহী কমিটির সদস্য এড. আবেদ রাজা, এবি পার্টির যুগ্ম মহাসচিব ব্যরিষ্টার আসাদুজ্জামান ফুয়াদ,গনফ্রন্ট্রের মহাসচিব আহম¥দ আলী শেখ, এনডিপির মহাসচিব মঞ্জুর হোসেন ঈসা, বাংলাদেশ ন্যাপ মহাসচিব গোলাম মোস্তফা ভূঁইয়া, ইসলামী আন্দোলন দফতর সম্পাদক মাওলানা লোকমান হোসাইন জাফরী, দেশ বাঁচাও মানুষ বাঁচাও সভাপতি কে.এ রকিবুল ইসলাম রিপন, লেবার পার্টি একাংশের চেয়ারম্যান লায়ন ফারুক রহমান প্রমুখ। দলীয় নেতৃবৃন্দের মধ্যে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য আতিকুল ইসলাম, আনোয়ার হোসেন আবুড়ী, সহ-সভাপতি নজরুল ইসলাম, এ্যাড. আফতাব হোসেন মোল্লা ও সৈয়দ আব্দুল হান্নান নূর, অতিরিক্ত মহাসচিব আকবর হোসেন পাঠান, দফতর সম্পাদক খোন্দকার জিল্লুর রহমান, খান আসাদ প্রমুখ।
নেতৃবৃন্দ আরও বলেন, ৯২ শতাংশ মুসলমানের দেশে ইফতার মাহফিল আয়োজনে নিরুৎসাহিত করা, পাঠ্যসূচীতে শরীফ থেকে শরীফার গল্প, এনজিও পরিচালিত প্রতিষ্ঠানের পণ্যে সমকামীতার লোগো এসব কিছুই একসুতোয় গাথা। মূল উদ্দেশ্য মুসলমানদের বিভ্রান্ত করার মাধ্যমে তাদের ঈমান-আকীদা দূর্বল করা ও বিভাজন তৈরি করা। তাদের এসব অপকৌশলে কোন কাজ হবে না বরং নিজেরাই ধ্বংস হয়ে যাবে। ইতিমধ্যে দেশের সংখ্যাগরিষ্ট মুসলিম জনগণ বিভিন্ন দেশ ও গোষ্ঠির পণ্য বর্জনের মাধ্যমে ঐক্যশক্তির নমুনা প্রদর্শন করেছে মাত্র। ভবিষ্যতেও যারা ইসলাম ও দেশের স্বার্থের বিরুদ্ধে দাড়াবে, জনগণ তাদের সমুচিত জবাব দেবে বলে নেতৃবৃন্দ মন্তব্য করেন। ইফতার পূর্বে সমগ্র মুসলিম জাতির ঐক্যবদ্ধতার জন্য আল্লাহর সহায়তা ও বাংলাদেশের শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনা করে দোয়া করা হয়।